খুলনা জেলা বিএনপি’র ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনা ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে এঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানিয়েছেন, খুলনা ক্লাবে জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে ইফতারির প্যাকেট বন্টনকে কেন্দ্র করে নগর ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের কতিপয় নেতার মধ্যে বাক-বিতান্ডার ঘটনা ঘটে। এসময়ে প্রকাশ্যে নগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি যুবদল নেতাদের দেখে নেবার হুমকি দিয়ে ইফতার না করেই স্থান ত্যাগ করেন।

এঘটনার জেরধরে ইফতারের পর খুলনা ক্লাবের সামনে ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ধারালো অস্ত্রধারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যুবদল নেতাদের রক্তাক্ত জখম করে।

খুলনা জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, ইফতারের প্যাকট বিতরণ নিয়ে জনির সাথে কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।

জেলা বিএনপি’র বিবৃতি:

খুলনা জেলা বিএনপি’র ইফতার পরবর্তীতে খুলনা ক্লাবের সামনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবদলের পাঁচজন নেতা গুরুতর জখম হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপুর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী ও যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, খুলনা জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল পরবর্তীতে খুলনা ক্লাব থেকে বের হচ্ছিলেন যুবদল নেতৃবৃন্দ। এসময়ে ১৫/২০টি মোটরসাইকেলে ৪০ থেকে ৫০জন ধারালো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনি, যুবদল নেতা তৌহিদ উদ্দিন দারা, রাজিব, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সোহাগ গোলদার ও কয়রা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক অলিদকে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রক্তাক্ত জখম হয়েছেন তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে খুলনা জেনারেল ও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।